নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত খুতবাতুল হাজাতের পদ্ধতিঃ

 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে খুতবাতুল হাজাত শিক্ষা দিয়েছেনঃ 
الْحَمْدُ لِلَّهِ نَسْتَعِينُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ وَنَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ شُرُورِ أَنْفُسِنَا ومن سيئات أعمالنا مَنْ يَهْدِهِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُه 
يََا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ 
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمْ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيرًا وَنِسَاءً وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي تَسَاءَلُونَ بِهِ وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا 
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَمَنْ يُطِعْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا 
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর সাহায্য চাচ্ছি এবং তাঁর কাছেই গুনাহসমূহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের নফসের অকল্যাণ ও মন্দ আমল থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আল্লাহ্ যাকে সুপথ দেখাবেন তাকে কেউ গোমরাহ করতে পারবে না আর যাকে গোমরাহ করবেন, তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক থাকবে না। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। 
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ্কে যেমন ভয় করা উচিত ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সূরা আল-ইমরানঃ ১০২) 
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙিগনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহ্কে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচনা করে থাক এবং আত্মীয়-জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর (তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে সাবধান থাক)। নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন। (সূরা নিসাঃ ১) 
হে মুমিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। তিনি তোমাদের আমল-আচরণ সংশোধন করবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন। যে কেউ আল্লাহ্ ও তার রসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। (সূরা আহযাবঃ ৭০-৭১) 
ইমাম শুবা (রঃ) বলেনঃ আমি আবু ইসহাককে বললামঃ এটি কি বিবাহের খুতবা? না অন্যান্য বিষয়ের খুতবা? তিনি বললেনঃ প্রত্যেক প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করার খুতবা। 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যদি কোন মহিলা, খাদেম অথবা চতুষ্পদ জন্তুর মালিক হয় তখন সে যেন তার কপালে হাত রাখে তাতে বরকতের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করে এবং বিসমিল্লাহ্ বলে। অতৎফর এই দুআটি পাঠ করে। 
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَمِنْ شَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ 
হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ এবং একে যা দিয়ে সৃষ্টি করেছ তার কল্যাণ কামনা করছি। আর আমি তোমার কাছে এর অকল্যাণ এবং যে বিষয় দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছ তার অকল্যাণ থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। 
তিনি নব বিবাহিত ব্যক্তির জন্য দুআ করার সময় বলতেনঃ 
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِى خَيْرٍ 
আল্লাহ্ তোমাদের জন্য বরকত দান করুন, তোমাদের উপর বরকত নাযিল করুন এবং তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে একত্রি করুন। 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেনঃ কেউ যদি রোগে আক্রান্ত কোন লোককে দেখে এই দুআটি পাঠ করে তবে সেই রোগটি তাকে কখনই আক্রমণ করবে না, তা যত বড়ই হোক। দুআটি হচ্ছে এইঃ 
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى عَافَانِى مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِى عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً 
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। যিনি আমাকে ঐ রোগ থেকে হেফাজ করেছেন, যার মাধ্যমে তোমাকে পরীক্ষায় ফেলা হয়েছে এবং আমাকে অনেক মানুষের উপর বিশেষ ফজীলত দান করেছেন। 
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট তিয়ারা তথা পাখি উড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হলে তিনি বললেনঃ এ ক্ষেত্রে ফাল (ভাল ধারণা করা, ভাল কথা শ্রবণ করে ভাল কিছু কামনা করা ইত্যাদি) হচ্ছে সর্বোত্তম। এটি মুসলিমের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। যখন তুমি খারাপ লক্ষণের কিছু দেখবে তখন বলবেঃ 
اللهم لايأتى بالحسنات إلا أنت ولايدفع السيئات إلاأنت ولاحول ولاقوة إلابك 
হে আল্লাহ্! তুমি ছাড়া অন্য কেউ কল্যাণ দিতে পারে না, তুমি ছাড়া অন্য কেউ কষ্ট দূর করতে পারে না। তোমার সাহায্য ব্যতীত কেউ গুনাহ হইতে বিরত থাকা ও আনুগত্য করার ক্ষমতা রাখে না।

মন্তব্য করুন

No comments found.

New comment